Sun Pharma opens new plant in BD
Published: 26 May 2024
প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের দাম। গত ২ সপ্তাহে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে মর্মে গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবেদন সংযুক্ত করে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) গত ২৯ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে সব ধরনের ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি রোধকল্পে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ প্রদান ও রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। বর্তমানে দেশে ৩১০টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সার্বিকভাবে ওষুধের দাম ও মান নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি সুপারিশ : ক. ১১৭টির পরিবর্তে ১/৩ ভাগ ওষুধের তালিকা প্রণয়ন; খ. ১০০০ ট্যাবলেট/ক্যাপসুল কনটেইনারে সরবরাহ; গ. গজ-এর পরিবর্তে ডিজিটাল মার্কেটিং চালু করা; ঘ. ট্রেড নামের বদলে জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন; ঙ. মূল্য নির্ধারণে স্বাধীন কমিশন গঠন।
ওষুধের দাম বাড়ার পেছনে ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সাম্প্রতিককালে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাসসহ বিভিন্ন ইউটিলিটিজের মূল্যবৃদ্ধি, বিশ্ববাজারে ওষুধের কাঁচামাল বৃদ্ধি, মার্কেটিং খরচ বেড়ে যাওয়াসহ ডলারের বিনিময় মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করছেন। ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন Bangladesh Association of Pharmaceutical Industries (BAPI) বিভিন্ন ফোরামে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে আসছে। দেশে ওষুধের বাজার প্রায় ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ হাজার কোটি টাকার। ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো ৪১৮০টি জেনেরিকের ৩৫,২৯০টি ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদন করে থাকে। এর মধ্যে প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের ১১৭টি জেনেরিকের ওষুধের মূল্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বাকি সব ওষুধের মূল্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো নির্ধারণ করে ভ্যাট প্রদানের নিমিত্তে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করে থাকে।