সান ফার্মাসিউটিক্যালস (ইজেড) লিমিটেডের নতুন কারখানা উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয়ে অবস্থিত মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে এ কারখানার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেছেন, ‘আমাদের দেশে ফার্মাসিউটিক্যালস একটি সফল ব্যবসা। বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্পের প্রসার ঘটেছে। ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের বহু দেশে ওষুধ রফতানি করছে।’
চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের উভয় ফার্মাসিউটিক্যালস শিল্প চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে। গত এক দশকে দুটি দেশে এই শিল্প পৃথকভাবে উন্নতি করেছে। এখন দুটি দেশের মধ্যে এই শিল্পে সহযোগিতা খুব প্রয়োজন।’ দেশের স্বাস্থ্য খাতে নতুনত্ব নিয়ে আসা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদানের জন্য সান ফার্মা-এর প্রশংসা করেন সালমান এফ রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন–বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মা, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মুক্তাদির, সেক্রেটারি এস এম শফিউজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ।
আয়োজকেরা জানান, গত দুই দশক ধরে সান ফার্মা উচ্চমান সম্পন্ন ওষুধ তৈরিতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই নতুন কারখানা তারই প্রতিফলন। এখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, সান ফার্মা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্পেশালিটি জেনেরিক কোম্পানি। এটি স্পেশালিটি, জেনেরিক এবং কনজ্যুমার হেলথ কেয়ারের জন্য সমাদৃত। ভারতের বৃহত্তম ওষুধ উৎপাদনকারী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জেনেরিক কোম্পানি হিসেবে প্রসিদ্ধ। বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর স্পেশালিটি পোর্টফোলিওতে রয়েছে ডার্মাটোলজি, অপথালমোলজি ও অনকো ডার্মাটোলজির বিভিন্ন ধরনের পণ্য, যা কোম্পানির সেলসের ১৬ শতাংশ দখল করেছে।